আপডেট:
09 August 2025

৪৭তম বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন - এক্সপার্ট সাজেশন | Biddabari

বাংলাদেশের সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং সরকারি চাকরির পরীক্ষা হচ্ছে বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস)। এই পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের মাধ্যমে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন দেশের হাজারো লাখো তরুণ তরুণী।

সামাজিক মর্যাদা, নিরাপত্তা, প্রশাসনিক ক্ষমতা, আর্থিক সুযোগ-সুবিধা, দেশ সেবার অবারিত সুযোগ ও পরিবার নিয়ে বিদেশে বসবাস সহ উচ্চ প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভের এক অপার সম্ভাবনা থাকে একজন বিসিএস ক্যাডারের জন্য।

কিন্তু এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এতটা সহজ নয়। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯০ থেকে ৯৫% শিক্ষার্থীই লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হতে পারে না। বিসিএস পরীক্ষায় শুধুমাত্র তারাই উত্তীর্ণ হয় যারা এই পরীক্ষার জন্য একটি পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ বিসিএস প্রস্তুতি (Bcs Preparation) গ্রহণ করতে পারে। চলুন জেনে নেই কীভাবে বিসিএস প্রস্তুতি নিলে আপনি সফল হবেন।

 বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন: 

       BCS Preparation এর শুরুতেই সর্বপ্রথম কাজটি হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষা এবং এর সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করা।

       বিসিএস পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস ও বিগত বিসিএস এর প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করতে হবে।

       নিয়মিত রুটিনমাফিক বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করতে হবে।

       প্রিলিমিনারি ও লিখিত উভয় পরীক্ষাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

       একই সাথে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সমন্বিত প্রস্তুতি নিতে হবে।

       প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার কমন বিষয়গুলোকে এমন ভাবে গুছিয়ে পড়তে হবে যেন দুই পরীক্ষাতেই কাজে লাগে।

       গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে হবে।

       নিয়মিত পড়াশুনার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

       প্রত্যেকটি বিষয়ে দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেগুলো সমাধান করে নিজের প্রস্তুতিকে আরও মজবুত করে তুলতে হবে।

       নিয়মিত মডেল টেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতির অগ্রগতি যাচাই করতে হবে।

       প্রয়োজনে বিসিএস এর দক্ষ কোন প্রতিষ্ঠানের এর সাথে সংযুক্ত থেকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে পড়াশুনা করতে হবে।


বিসিএস এর খুঁটিনাটি তথ্য:

বিসিএস পরীক্ষা কী:

বিসিএস পরীক্ষা হলো বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (BCS) বিভিন্ন ক্যাডারে কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। এটি সরকারি চাকরির জন্য সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হয়। 

বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা:

  • প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। 

  • প্রার্থী যেকোনো বিষয়ে ৪ বছরের স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরেই বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন। 

  • কোন শিক্ষার্থী যদি তিন বছরের পাস কোর্সে পড়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই মাস্টার্স সম্পন্ন করতে হবে। 

  • বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের জন্য প্রার্থীর বয়সসীমা ২১-৩২ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।  

  • অনার্স বা মাস্টার্স পরীক্ষা যদি সদ্যই শেষ হয়ে থাকে (ফলাফল প্রকাশ না হলেও) তাহলে একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট শর্ত পালন করে তার অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়েও বিসিএস পরীক্ষার আবেদন করতে পারেন। 

  • কোন শিক্ষার্থী যদি কোন টেকনিক্যাল ক্যাডারে আবেদন করতে চায় তাহলে তাকে সে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। 

  • প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। শারীরিক যোগ্যতার প্রমাণের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রার্থীদের ওজন-উচ্চতা, বক্ষ, দৃষ্টিশক্তি, মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। 

  • পুলিশ ও আনসার ক্যাডারদের জন্য শারীরিক যোগ্যতার বিভিন্ন মানদণ্ড রয়েছে।



বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের অযোগ্যতা:

       কোনো প্রার্থী যদি কোন ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তবে তিনি বিসিএস পরীক্ষার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

     যদি কোনো প্রার্থী আবেদন করার সময় ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন তবে তার আবেদন বাতিল বলে গণ্য হতে পারে। 

     কোনো প্রার্থী যদি বিসিএসের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় শারীরিক যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেন তবে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। 

       পুলিশ ও আনসার ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য শারীরিক যোগ্যতার যে মানদণ্ড থাকে সেটি পূরণ না হলে তারা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

       কোনো প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের কোন পর্যায়ে একাধিক তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের গ্রেড থাকলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

       কোন প্রার্থীর বয়স যদি ২১ বছরের কম বা ৩২ বছরের বেশি হয় তাহলে তিনি অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

       বিসিএস এর আবেদনের জন্য প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে নয়তো তিনি আবেদনের জন্য অযোগ্য।

       যদি কোনো প্রার্থী পূর্বে দুইবার আইএসএসবি (ISSB) পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়ে থাকেন তবে তিনি আবেদন করার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

 

আরও জানুন:বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত

 

বিসিএস ক্যাডার কয়টি ও কি কি:

বিসিএস এ সাধারণত ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। যার মধ্যে ১৪টি সাধারণ ক্যাডার এবং ১২টি কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার রয়েছে।

     সাধারণ ক্যাডার: সাধারণ ক্যাডারের পদগুলোতে যেকোনো বিষয় থেকে অধ্যয়ন করা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

     কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার: শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বিষয়ে অধ্যয়ন করা শিক্ষার্থীরা এই ক্যাডারগুলোতে আবেদন করতে পারেন।


কোড সহ বিসিএস ক্যাডার তালিকা

ক্যাডারের নাম
(Cadre Name)

ক্যাডারের ধরণ
(Type of Cadre)

ক্যাডার কোড
(Cadre Code)

বিসিএস এডমিন ক্যাডার [প্রশাসন]











সাধারণ ক্যাডার

১১০

বিসিএস আনসার ক্যাডার

১১৮

বিসিএস অডিট ক্যাডার [নিরীক্ষা ও হিসাব]

১১২

বিসিএস সমবায় ক্যাডার

১১৯

বিসিএস ট্যাক্স ক্যাডার [শুল্ক ও আবগারি]

১১৩

বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার

১২৪

বিসিএস খাদ্য ক্যাডার

১১১

বিসিএস ফরেন ক্যাডার [পররাষ্ট্র]

১১৫

বিসিএস তথ্য ক্যাডার

১২১ / ১২২ / ১২৩

বিসিএস পুলিশ ক্যাডার

১১৭

বিসিএস ডাক ক্যাডার

১১৬

বিসিএস রেলওয়ে ক্যাডার [পরিবহণ ও বাণিজ্যিক]

১২৫

বিসিএস ট্যাক্স ক্যাডার [কর]

১১৪

বিসিএস বাণিজ্য ক্যাডার

১২০

বিসিএস কৃষি ক্যাডার









কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

২২৬/২২৭/২২৯

বিসিএস মৎস্য ক্যাডার

২৪০/২৪৪/২৪৫/২৪৮/২৫৩/২৬১/২৬৩

বিসিএস বন ক্যাডার

৫৫০

বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার

৪১০/৪৫০

বিসিএস পশু সম্পদ ক্যাডার

২৭০/২৮১

বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ক্যাডার

৩২০

বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডার

৩১১/৩১২

বিসিএস রেলওয়ে প্রকৌশল ক্যাডার

৩৫১/৩৫২

বিসিএস সড়ক ও জনপদ ক্যাডার

৩৩১/৩৩২

বিসিএস পরিসংখ্যান ক্যাডার

৫৪০

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার

বিষয় সংশ্লিষ্ট কোড

বিসিএস কারিগরি শিক্ষা ক্যাডার

বিষয় সংশ্লিষ্ট কোড


উল্লেখ্য যে,
বাংলাদেশ গেজেটে ১৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত এস.আর.ও. নম্বর-৩৩৫-আইন/২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকোনমিক) ক্যাডারকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের সাথে একীভূত করা হয়েছে।

বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি:
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন নিয়োগ বিধিমালা ২০১৪ এর বিধান অনুযায়ী বিসিএস এর জন্য উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়নের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্ম কমিশন নিম্নোক্ত ৩ ধাপ বিশিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। যথা:

     প্রথম ধাপ (প্রিলিমিনারি পরীক্ষা): ২০০ নম্বরের MCQ Type প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।

     দ্বিতীয় ধাপ (লিখিত পরীক্ষা): প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।

     তৃতীয় ধাপ (ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষা): লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ২০০ নম্বরের ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষা

বিসিএস পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে বিস্তারিত:

১। ১ম ধাপ: (প্রিলিমিনারি পরীক্ষা):
বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপেই ১০টি বিষয় থেকে MCQ পদ্ধতিতে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য প্রার্থী ১ নম্বর বরাদ্দ থাকে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা যায়।

২০০ নম্বরের এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য সর্বমোট ২ ঘণ্টা বা ১২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

উল্লেখ্য যে, বিগত ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণ করা হতো। পরবর্তীতে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা হতে ১০টি বিষয়ের উপর ২০০ নম্বরের ২ ঘণ্টা ব্যাপী MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২। ২য় ধাপ: (লিখিত পরীক্ষা):
এই পর্যায়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। লিখিত পরীক্ষার এই ধাপটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে যুক্ত হয়ে বাকী প্রতিযোগীদের সাথে একটি ব্যবধান সৃষ্টি করতে সহায়তা করে।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার গড় পরীক্ষার পাশ নম্বর ৫০% হলেও মৌখিক পরীক্ষা সহ চূড়ান্তভাবে মনোনীত হতে আরেকটু বেশি নম্বরের প্রয়োজন হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার এবং উভয় ক্যাডারের জন্য বিসিএস লিখিত পরীক্ষার মানবণ্টন কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে।


  • ৩। ৩য় ধাপ (ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষা):


  • লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের মৌখিক/ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে (বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে এবং

  • এটি ৪৭তম বিসিএস থেকে কার্যকর হবে)মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার জন্য ৫০% নম্বর পেতে হবে, অর্থাৎ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫০ পেতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার গড় পাশ

  • নম্বর ৫০% হলেও লিখিত পরীক্ষার মতো এই পরীক্ষাতেও প্রার্থী যত বেশি নম্বর পাবে ততই নিজের পছন্দের ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

     

    ভাইভা বোর্ডে ১ জন করে চেয়ারম্যান থাকেন, যিনি মূলত পিএসসির সদস্য। ২য় সদস্য হিসেবে থাকেন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত যুগ্ম সচিব বা তাঁর ঊর্ধ্ব পর্যায়ের একজন পদস্থ

  • কর্মকর্তা।  ৩য় সদস্য হিসেবে থাকেন সরকারের কোনো অবসরপ্রাপ্ত সচিব, যুগ্ম সচিব বা প্রতিষ্ঠিত সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা।  মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোন

  • সিলেবাস থাকে না। এক্ষেত্রে প্রার্থীর একাডেমিক পড়াশোনা, দেশ, সমাজ, রাজনীতি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ও দর্শন, ক্যাডার চয়েজ ইত্যাদি

  • নিয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন:
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন:

বিষয়ের নাম

নম্বরবণ্টন

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

৩৫

ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য

৩৫

বাংলাদেশ বিষয়াবলি

৩০

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

২০

ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

১০

সাধারণ বিজ্ঞান

১৫

কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি

১৫

গাণিতিক যুক্তি

১৫

মানসিক দক্ষতা

১৫

নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন

১০

মোট নম্বর

২০০


বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন:

ক্যাডার চয়েজ অনুসারে বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন ভিন্ন হয়ে থাকে।        

সাধারণ ক্যাডারের জন্য বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন

আবশ্যিক বিষয়

নম্বরবণ্টন

বাংলা

২০০

ইংরেজি

২০০

বাংলাদেশ বিষয়াবলি

২০০

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

১০০

গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা

১০০

সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

১০০

মোট নম্বর

৯০০


কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের জন্য বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন

আবশ্যিক বিষয়

নম্বর বণ্টন

বাংলা

১০০

ইংরেজি

২০০

বাংলাদেশ বিষয়াবলি

২০০

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

১০০

গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা

১০০

পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়

২০০

মোট নম্বর

৯০০



(সাধারণ + কারিগরি) উভয় ক্যাডারের জন্য বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন

আবশ্যিক বিষয়

নম্বর বণ্টন

বাংলা

২০০

ইংরেজি

২০০

বাংলাদেশ বিষয়াবলি

২০০

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

১০০

গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা

১০০

সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

১০০

সংশ্লিষ্ট পদের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে

২০০



বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি:



বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট ১০টি বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য করণীয় বিষয়গুলো জেনে নেই।


বিসিএস বাংলা ভাষা ও সাহিত্য প্রস্তুতি:


বাংলা ব্যাকরণ অংশের প্রস্তুতি:
বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সন্ধি ও সমাস, উপসর্গ, কারক ও বিভক্তি, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, ইত্যাদি টপিকগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণ অংশে ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে।


৩৫-৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলা ব্যাকরণের যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

টপিক

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

ধ্বনি

১৭টি

বর্ণ

৬টি

শব্দ

১৬টি

সন্ধি

৬টি

সমাস

১১টি

কারক ও বিভক্তি

৪টি

প্রত্যয়

১১টি

পদ

৭টি

বানান ও বাক্য শুদ্ধি

১৮টি

পরিভাষা

১১টি

সমার্থক শব্দ

১৫টি

বিপরীতার্থক শব্দ

৮টি

প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ

৭টি

বাগধারা

৭টি

এক কথায় প্রকাশ

৪টি

উপসর্গ

২টি

 

বাংলা সাহিত্য অংশের প্রস্তুতি:
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায়বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগের উল্লেখযোগ্য রচনা, রচয়িতাদের পরিচিতি ইত্যাদি বাংলা সাহিত্য অংশের প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিসিএস প্রিলিতেবাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগ অংশে ৫ নম্বর, আধুনিক যুগ থেকে ১৫ নম্বর সহ সর্বমোট ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকে।

১০-৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্যের যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

টপিক

মোট প্রশ্ন (১০-৪৬ বিসিএস)

চর্যাপদ

১৮টি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫০টি

কাজী নজরুল ইসলাম

২৮টি

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৫টি

মাইকেল মধুসূদন দত্ত, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মীর মশাররফ হোসেন

১৫টি

প্রমথ চৌধুরী, আলাউদ্দিন আল আজাদ

৯টি

জসীমউদ্দিন

১০টি

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্

৭টি

সৈয়দ আলাওল, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, জীবনানন্দ দাশ, লোক সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য

১৪টি

যুগবিভাগ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, ভারতচন্দ্র, শাহ মুহম্মদ সগীর, মুনীর চৌধুরী, দৌলত উজির বাহরাম খান

৮টি

মঙ্গলকাব্য, শ্রীচৈতন্যদেব, ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, বেগম রোকেয়া, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, কবিওয়ালা/শায়ের, রাজা রামমোহন রায়, ফররুখ আহমদ

১২টি

চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, প্যারীচাঁদ মিত্র, বিহারীলাল চক্রবর্তী, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আহমদ শরীফ, দীনেশচন্দ্র সেন, সেলিম আল দীন, নূরুল মোমেন, শওকত ওসমান, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ


৪টি

নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ুন আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মুহম্মদ আব্দুল হাই, লালন সাঁই, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বিষ্ণু দে,শামসুর রাহমান, আবুল হাসান, শহীদুল জহির, আবুল ফজল


১৫টি

বিখ্যাত পত্র-পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকাল

২৯টি

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাহিত্য

১১টি

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্য

১১টি

উপন্যাস

৬টি

নাটক, ছন্দ প্রকরণ

৫টি

গদ্য, সঙ্গীত

৪টি

মহাকাব্য, গীতিকবিতা ও সনেট

৪টি

ছদ্মনাম ও উপাধি

৩টি

তেভাগা আন্দোলন

১টি

অভিধান গ্রন্থ

১টি

পুরস্কার

১টি

গণঅভ্যুত্থান

১টি


বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশে ভালো করার টিপস:


  • বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো খুব ভালোমতো উদাহরণ সহ পড়ুন।

  • বিসিএস সহ বিগত সরকারি চাকরির প্রশ্ন গুলো বিশ্লেষণ করে যে টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন আসে সেগুলো ভালোমতো পড়ুন।

  • সরাসরি কমন পেতে বিসিএস সহ বিগত সকল সরকারি চাকরির পরীক্ষার বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশের প্রশ্ন গুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।

  • যে টপিকগুলো থেকে সহজেই বেশি নম্বর তোলা যায় যেমন- সন্ধি, উপসর্গ, সমাস, নত্ব-বিধান ও ষত্ব- বিধান, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি প্রত্যয়, ধ্বনি পরিবর্তন সেগুলো খুব ভালোভাবে পড়ুন।

  • বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ টপিক সমূহ যেমন- (চর্যাপদ, মঙ্গলকাব্য, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন) ইত্যাদি গুরুত্বসহকারে পড়ুন।

  • পিএসসির নির্ধারিত ১১ জন কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনী সহ তাদের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে পড়ুন।

  • উইলিয়াম কেরি, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, রাজা রামমোহন রায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বঙ্কিমচন্দ্র মাইকেল মধুসূদন, জসীমউদ্‌দীন, রোকেয়া, ফর্‌রুখ আহমদ, আহসান হাবীব, জীবনানন্দ দাশ, জহির রায়হান, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনীর চৌধুরী, শওকত ওসমান, শামসুর রাহমানের মত গুরুত্বপূর্ণ কবি ও সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে পড়ুন।

  • ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল গ্রন্থ, উপন্যাস ও চলচ্চিত্র সম্পর্কে পড়ে ফেলুন।

  • পত্র-পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকাল ও সম্পাদক ইত্যাদি সম্পর্কে জানুন।

  • কবি সাহিত্যিকদের উপাধি ও ছদ্মনাম সম্পর্কে জানুন।

  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অংশে আরও ভালো প্রস্তুতির জন্য বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বইটি পড়তে পারেন।


বিসিএস English Grammar & Literature অংশের প্রস্তুতি:

Grammar অংশের প্রস্তুতি:
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায়Grammar অংশের জন্য Noun, Number, Gender, Determiner, Pronoun, Verb, Adjective, Adverb, Preposition, Conjunction, Idioms & Phrases, Clauses, Tense, Subject-Verb Agreement, Sentences & Transformations, Voice, Narration, Degree, Vocabulary, Spelling, Synonyms & Antonyms, Substitutions, Formation of new words by adding prefixes and suffixes ইত্যাদি টপিক গুলো গুরুত্বপূর্ণ।

৩৫-৪৬তম বিসিএসে English Grammar অংশের যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

ক্রমিক

টপিক

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

The Noun

১০টি

The Adjective

৩টি

The Verb

১০টি

The Adverb

৩টি

The Preposition

২০টি

The Number

৭টি

Article

৩টি

The Determiner

৪টি

Idiom and Phrase

১৭টি

১০

Synonyms & Antonyms

২২ টি

১১

Spellings

৯টি

১২

The Voice

১১টি

১৩

Substitutions

১২টি

১৪

Subject-verb-agreement

৬টি

১৫

Right forms of verb

৬টি

১৬

Corrections

১১টি

 

English Literature অংশের প্রস্তুতি:

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য ইংরেজি সাহিত্য অংশে বিখ্যাত লেখক ও কবিদের জীবনী এবং তাদের বিখ্যাত গন্থ সমূহ, ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ যেমন- Old English, Middle English, Elizabethan, Romantic, Victorian ও Modern Period সহ বিভিন্ন যুগের বিখ্যাত লেখক ও কবিদের নাম ও তাদের সষ্টিকর্ম সম্পর্কে পড়তে হবে। এছাড়া বিভিন্ন Literary Terms, Important Quotations from drama/poetry of different ages পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

১০-৪৬তম বিসিএসে English Literature অংশের যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

ক্রমিক

টপিক

মোট প্রশ্ন (১০-৪৬ বিসিএস)

William Shakespeare

২০টি

George Bernard Shaw

৯ টি

T. S. Eliot

৫টি

Ernest Hemingway

৫টি

William Wordsworth

৬টি

W. B. Yeats

৬টি

S. T. Coleridge

৪টি

Charles Dickens

৪টি

Thomas Gray

২টি

১০

Jonathon Swift

৩টি

১১

P. B. Shelley

৫টি

১২

E. M. Forster

৩টি

১৩

Alexander Pope

৩টি

১৪

John Keats

৩টি

১৫

William Blake

২টি

১৬

Robert Browning

৩টি

১৭

Christopher Marlowe

২টি

১৮

Literary Terms

৬টি

১৯

Quotations

৬টি

 

বিসিএস English Grammar and Literature অংশে ভালো করার টিপস:



  • বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো থেকে Example গুলো বেশি বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে।

  • Grammar এর সব Rules পড়ে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। গুরুত্বপূর্ণ টপিক থেকে Example গুলো আগে দেখুন এবং সে অনুযায়ী Rules গুলো পড়ুন।

  • সরাসরি কমন পেতে বিসিএস সহ বিগত সকল সরকারি চাকরির পরীক্ষার Grammar & Literature অংশের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ুন।

  • ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন যুগের (যেমন- Old English, Middle English, Elizabethan, Romantic, Victorian ও Modern Period) কবি সাহিত্যিকদের নাম ও তাদের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে পড়ুন।

  • ইংরেজি সাহিত্যের বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকদের (যেমন-William Shakespeare, George Bernard Shaw, T. S. Eliot, William Wordsworth W. B. Yeats, Charles Dickens ইত্যাদি) বিভিন্ন বিখ্যাত সব গ্রন্থ, উপন্যাস ও নাটকের বিভিন্ন চরিত্র, বিভিন্ন Important Quotations এবং Literary Terms গুলো ভালো মত পড়ুন।

  • ইংরেজি সাহিত্য অংশে ভালো করার জন্য অবশ্যই একটি ভালো বই অনুসরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজারে বহুল প্রচলিত বিদ্যাবাড়ির Classroom Mcq English বইটি আপনার প্রস্তুতির জন্য অন্যতম সহায়ক হতে পারে।


বিসিএস বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রস্তুতি:

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি (বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস: আধুনিক যুগ (১৭৫৭ থেকে অদ্যাবধি), বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ, বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য, বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও জনশুমারি এবং বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহ, জাতীয় পুরস্কার, বাংলাদেশের খেলাধুলাসহ চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ইত্যাদি টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

৩৫-৪৬তম বিসিএসে বাংলাদেশ বিষয়াবলির যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

অধ্যায়

টপিক

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

 

 

 

 

 

 

প্রথম অধ্যায়

প্রাচীনকাল হতে সমসাময়িক কালের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি

৪২টি

ভাষা আন্দোলন

১২টি

১৯৫৪ সালের নির্বাচন

৪টি

ছয়-দফা আন্দোলন ১৯৬৬

৯টি

গণঅভ্যুত্থান ১৯৬৮-৬৯

১টি

অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১

২টি

৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুজিবনগর সরকারের গঠন ও কার্যাবলি, মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল, মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা, পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়

৩৭টি

দ্বিতীয় অধ্যায়

বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ, শস্য, উৎপাদন এবং এর বহুমুখীকরণ, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা

২৫টি

তৃতীয় অধ্যায়

বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও জনশুমারি

১৬টি

জাতি, গোষ্ঠী ও উপজাতি সংক্রান্ত বিষয়াদি

১০ টি



চতুর্থ অধ্যায়

বাংলাদেশের অর্থনীতি: উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিকী

৮টি

জাতীয় আয়ব্যয়

১২টি

রাজস্ব নীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি

৪টি




পঞ্চম অধ্যায়

বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য

৩টি

শিল্প উৎপাদন

৩টি

পণ্য আমদানি ও রপ্তানীকরণ

৫টি

গার্মেন্টস শিল্প ও এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা, বৈদেশিক লেনদেন, অর্থ প্রেরণ

৩টি

ব্যাংক, বীমা ব্যবস্থাপনা

১টি


ষষ্ঠ অধ্যায়

বাংলাদেশের সংবিধান: প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট্য, মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের সংশোধনীসমূহ

৪টি



সপ্তম অধ্যায়

রাজনৈতিক দলসমূহের গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম

২টি

ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পারস্পরিক সম্পর্ক

১টি

সুশীল সমাজ ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীসমূহ এবং এদের ভূমিকা

৩টি



অষ্টম অধ্যায়

বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা

৩টি

আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ

৫টি

আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ

৩টি

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার

৫টি



নবম অধ্যায়

বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন

৯টি

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

৫টি

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহ

৯টি

জাতীয় পুরস্কার

৬টি

বাংলাদেশের খেলাধুলাসহ চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট বিষয়

১০টি


বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভালো করার টিপস:


  • নিয়মিত পত্রিকার পাতা থেকে জাতীয় বিভিন্ন সাম্প্রতিক ইস্যু এবং সম্পাদকীয় অংশ ভালোমতো পড়তে হবে। তথ্যগুলো নোট করে রাখতে হবে।

  • সরাসরি কমন পেতে বিসিএস সহ বিগত সকল সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি অংশের প্রশ্ন গুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।

  • প্রতি মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে সারা মাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নোট করে রাখুন।

  • নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্য বইটি খুব ভালোমতো পড়ুন।

  • বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভালো করতে হলে নিয়মিত রিভিশনের বিকল্প নেই।

  • প্রয়োজনে বিভিন্ন কুইজ ও মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

  • লিখিত পরীক্ষার জন্য পত্রিকা থেকে বিভিন্ন ইস্যু সম্পর্কে ডাটা সংগ্রহ করে রাখুন এবং সেগুলো পরীক্ষায় খাতায় চার্ট আকারে উপস্থাপন করুন।

  • যেকোনো ভালো একটি বই থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন-বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি, প্রাচীনকাল হতে সমসাময়িক কালের ইতিহাস কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংবিধান, সরকার ব্যবস্থা, জনসংখ্যা ও জনশুমারি, গার্মেন্টস শিল্প ও এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা, জাতি, গোষ্ঠী ও উপজাতি সংক্রান্ত, উন্নয়ন পরিকল্পনা ইত্যাদি) বিস্তারিত পড়ুন। এ ক্ষেত্রে বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বইটি অনুসরণ করতে পারেন।



 

বিসিএস আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির প্রস্তুতি:

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অংশে বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ, বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি ইত্যাদি টপিক গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩৫-৪৬তম বিসিএসে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

ক্রমিক

টপিক

 মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

বৈশ্বিক ইতিহাস

২৫ টি

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি

৩৮টি

আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি

৩২টি

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক

১৬টি

আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি

২৫টি

চুক্তি, সনদ ও সম্মেলন

২৪টি

আন্তর্জাতিক দিবস

৩টি

জাতিসংঘ ও অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সমূহ

২৮টি

আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ (রাজনৈতিক, সামরিক ও আঞ্চলিক)

১৬টি

১০

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি

১৬টি

১১

চুক্তি, সনদ ও সম্মেলন

২৪টি

১২

আন্তর্জাতিক দিবস

৩টি

১৩

সাম্প্রতিক ও অন্যান্য

২৩টি

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ভালো করার টিপস:


  •        আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ভালো করার জন্য পত্রিকা পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

           নিয়মিত আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো পত্রিকা থেকে পড়ুন। বিশেষ করে সম্পাদকীয় অংশ খুব ভালো মত পড়ুন।

           আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও ভূ-রাজনীতি, বৈশ্বিক ইতিহাস,  জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন, বিভিন্ন চুক্তি, সনদ ও সম্মেলন, নোবেল পুরস্কার, অস্কার,বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক, বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও মুদ্রা, সাগর মহাসাগর, হ্রদ, জলপ্রপাত, বিভিন্ন স্থান ও শহর, গ্রন্থ, চিত্রকর্ম, বিভিন্ন বিপ্লব, আদিবাসী, আঞ্চলিক জোট, বিভিন্ন যুদ্ধ ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোমতো জানুন।

         বিশ্ব ভূ-রাজনীতি এবং বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও বিশ্লেষণ পড়ুন। 

           আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে লিখিত পরীক্ষায় বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তরের ক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন চার্ট, গ্রাফ ও ম্যাপ ব্যবহার করুন।  

           ছোট ও বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় এমন প্রশ্নের উত্তরে বুলেট বা নম্বর আকারে বৈশিষ্ট্যগুলো লিখুন।

           পার্থক্য বোঝাতে টেবিল আকারে প্রশ্নের উত্তর লিখুন।

           সমস্যা সমাধান মূলক প্রশ্নের উত্তরে যথাযথ ভাবে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করুন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ফোকাস করার চেষ্টা করুন।

           যত ভালোই লিখুন না কেন সেটির উপস্থাপন যদি সঠিক ও সুন্দর না হয় তাহলে ভালো নম্বর আশা করা যাবে না।

            বিসিএস ও অন্যান্য সরকারি চাকরির বিগত প্রশ্নগুলো খুব ভালোমতো ব্যাখ্যা সহ পড়ুন।

           আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে গুছিয়ে প্রস্তুতির নেওয়ার জন্য বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বইটি সহ বিদ্যাবাড়ি থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির উপর বিশেষ লেকচার শিটটি সংগ্রহ করতে পারেন।


বিসিএস ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি:

বাংলাদেশ ও অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক, আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ (ভূ-প্রাকৃতিক), সম্পদের বণ্টন ও গুরুত্ব বাংলাদেশের পরিবেশ: প্রকৃতি ও সম্পদ, প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিবেশ পরিবর্তন: আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামকসমূহের সেক্টরভিত্তিক (যেমন- অভিবাসন, কৃষি, শিল্প, মৎস্য) স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা: দুর্যোগের ধরণ, প্রকৃতি ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি টপিক থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।


৩৫-৪৬তম বিসিএসে ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

ক্রমিক

টপিক

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

বাংলাদেশ ও অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক, আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব

১৫টি

অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ (ভূ-প্রাকৃতিক), সম্পদের বণ্টন ও গুরুত্ব

১৪টি

বাংলাদেশের পরিবেশ: প্রকৃতি ও সম্পদ, প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ

১৫টি

বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিবেশ পরিবর্তন: আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামকসমূহের সেক্টরভিত্তিক (যেমন- অভিবাসন, কৃষি, শিল্প, মৎস্য) স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব।

২৫টি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা: দুর্যোগের ধরণ, প্রকৃতি ও ব্যবস্থাপনা।

২০টি


ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ভালো করার টিপস:


  • নবম দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বোর্ড বই থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুসারে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়ুন।

  • ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল বিষয়গুলো যেমন – বাংলাদেশ ও অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, বাংলাদেশের পরিবেশ: প্রকৃতি ও সম্পদ, প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ, ভূমি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের উপর প্রভাব, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণ ও ফলাফল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ধাপ (প্রশমন, প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার) সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন এবং পরিষ্কার ধারণা তৈরি করুন।

  • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ ও দুর্যোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তি ও নীতিমালা ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত থাকুন।

  • বিগত সালের বিসিএস সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।

  • এই বিষয়ে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই ও লেকচার শিট অনুসরণ করতে পারেন।


বিসিএস সাধারণ বিজ্ঞান প্রস্তুতি:

নিম্নে বিসিএস প্রিলিমিনারিতে সাধারণ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো তুলে ধরা হল:

১। ভৌত বিজ্ঞান: এটমের গঠন, অ্যাসিড ক্ষার ও লবণ, ভৌত রাশি এবং এর পরিমাপ, চৌম্বকত্ব, তরঙ্গ এবং শব্দ, কার্বনের বহুমুখী ব্যবহার, পদার্থের অবস্থা, পদার্থের ক্ষয়, সাবানের কাজ, ভৌত বিজ্ঞানের উন্নয়ন, তাপ ও তাপগতি বিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান, শক্তির উৎস এবং এর প্রয়োগ, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস, পারমাণবিক শক্তি, খনিজ উৎস, শক্তির রূপান্তর, আলোক যন্ত্রপাতি, মৌলিক কণা, আলোর প্রকৃতি, স্থির এবং চল তড়িৎ, ধাতব পদার্থ এবং তাদের যৌগসমূহ, জারণ-বিজারণ,  অধাতব পদার্থ, তড়িৎ কোষ, অজৈব যৌগ, জৈব যৌগ, এক্সরে, তেজস্ক্রিয়তা, তড়িৎ চৌম্বক, ট্রান্সফরমার, ইত্যাদি।

২। জীব বিজ্ঞান: পদার্থের জীববিজ্ঞান-বিষয়ক ধর্ম, টিস্যু, জেনেটিকস, জীববৈচিত্র্য, এনিম্যাল ডাইভারসিটি, প্লান্ট ডাইভারসিটি, এনিম্যাল টিস্যু, অর্গান এবং অর্গান সিস্টেম, সালোক সংশ্লেষণ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, জুলোজিক্যাল নমেনক্লেচার, বোটানিক্যাল নমেনক্লেচার, প্রাণিজগৎ, উদ্ভিদ, ফুল, ফল, রক্ত ও রক্ত সঞ্চালন, রক্তচাপ, হৃৎপিণ্ড এবং হৃদ্‌রোগ, স্নায়ু এবং স্নায়ুরোগ, খাদ্য ও পুষ্টি, ভিটামিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্লান্ট নিউট্রেশন, পরাগায়ন ইত্যাদি।


৩। আধুনিক বিজ্ঞান
: পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস, কসমিক রে, ব্লাক হোল, হিগের কণা, বারিমণ্ডল, টাইড, বায়ুমণ্ডল, টেকটোনিক প্লেট, সাইক্লোন, সুনামি, বিবর্তন, সামুদ্রিক জীবন, মানবদেহ, রোগের কারণ ও প্রতিকার, সংক্রামক রোগ, রোগ জীবাণুর জীবনধারণ, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, ইম্যুনাইজেশন এবং ভ্যাকসিনেশন, এইচআইভি, এইডস, টিবি, পোলিও, জোয়ারভাটা, এপিকালচার, সেরিকালচার, পিসিকালচার, হটিকালচার, ডায়োড, ট্রানজিস্টর, আইসি, আপেক্ষিক তত্ত্ব।, ফোটন কণা ইত্যাদি।


৩৫-৪৬তম বিসিএসে সাধারণ বিজ্ঞানের যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

অধ্যায়

টপিক

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভৌত বিজ্ঞান

এটমের গঠন

৯টি

অ্যাসিড, ক্ষার ও লবণ

৬টি

ভৌত রাশি এবং এর পরিমাপ

২টি

চৌম্বকত্ব, তড়িৎ চৌম্বক, ট্রান্সফর্মার

৪টি

আলোর প্রকৃতি ও আলোক যন্ত্রপাতি

৪টি

কার্বনের বহুমুখী ব্যবহার

১টি

শক্তির উৎস ও ব্যবহার

১১টি

জারণ-বিজারণ ও তড়িৎ কোষ

৫টি

তাপ ও তাপগতিবিদ্যা

৫টি

তরঙ্গ এবং শব্দ

১টি

আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান, এক্সরে, তেজস্ক্রিয়তা

৮টি

স্থির এবং চল তড়িৎ

৫টি

 

 

 

 

 

 

 

 

    জীব বিজ্ঞান

টিস্যু (কোষ)

৫টি

ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া

৫টি

প্রাণিজগৎ

৩টি

রক্ত ও রক্ত সঞ্চালন, রক্তচাপ

৬টি

হৃৎপিণ্ড এবং হৃদ্‌রোগ

২টি

স্নায়ু এবং স্নায়ুরোগ

১টি

খাদ্য ও পুষ্টি, ভিটামিন

৮টি

উদ্ভিদজগৎ

৫টি

মাইক্রোবায়োলজি

৮টি

জেনেটিকস

৩টি



 

 

 

 

  আধুনিক বিজ্ঞান

পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস

৩টি

বারিমণ্ডল

৪টি

রোগের কারণ ও প্রতিকার

৪টি

মা ও শিশু স্বাস্থ্য

১টি

গ্রীন হাউজ গ্যাস

৪টি

বায়ুমণ্ডল

৫টি

এপিকালচার

২টি

গ্রহ-উপগ্রহ

২টি

সাধারণ বিজ্ঞানে ভালো করার টিপস:

  • ৮ম,৯ম ও ১০ম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে সাধারণ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়ুন।

  • পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের টপিকগুলো একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড বই থেকে পড়তে হবে। 

  • বিসিএস ও সরকারি চাকরির বিগত সালের প্রশ্নপত্র থেকে বিজ্ঞানের প্রশ্ন গুলো অবশ্যই ব্যাখ্যা সহপড়ুন।

  • তথ্যগুলো এমন ভাবে সাজিয়ে পড়ুন যাতে প্রিলি ও লিখিত উভয় পরীক্ষাতেই কাজে লাগে।

  • যে প্রশ্নগুলো বেশি রিপিট হয় সেগুলো ভালোমতো আয়ত্ত করুন।

  • বিজ্ঞানের টপিকগুলো আরও গুছিয়ে পড়ার জন্য বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বইটি পড়তে পারেন।

বিসিএস কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রস্তুতি :


বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ:

১। কম্পিউটার অংশ: কম্পিউটারের ইতিহাস কম্পিউটারের প্রকারভেদ কম্পিউটার পেরিফেরালস: কী-বোর্ড, মাউস, ওসিআর ইত্যাদি কম্পিউটারের অঙ্গসংগঠন, সিপিইউ, হার্ড ডিস্ক, এএলইউ, মেমোরি ইত্যাদি। দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার, , কম্পিউটারের পারঙ্গমতা, কম্পিউটারের নম্বর ব্যবস্থা, অপারেটিং সিস্টেম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, কৃষি ও যোগাযোগ ইত্যাদি। কম্পিউটার প্রোগ্রাম, ভাইরাস,  ফায়ারওয়াল, ডেটাবেইস সিস্টেম ও এমবেডেড কম্পিউটার ইত্যাদি।

২। তথ্যপ্রযুক্তি: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক: ল্যান (LAN), ম্যান (MAN), ওয়াই-ফাই (Wi-Fi), ওয়াইম্যাক্স (Wi-max), Li-Fi, ব্লু-টুথ, ইনফ্রারেড, ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম (Simplex, Duplex, Full-Duplex, Radio Wave, Infrared Wave ইত্যাদি), স্মার্টফোন (Smartphone), ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web-WWW), ইন্টারনেট, ই-কমার্স, মোবাইল প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য ও সেলুলার ডেটা নেটওয়ার্ক (2G, 3G, 4G, GSM, CDMA, LTE ইত্যাদি), (Internet), ই-মেইল (E-mail), ফ্যাক্স (Fax), ক্লায়ন্ট-সার্ভার ম্যানেজমেন্ট (Client-Server Management), তথ্যপ্রযুক্তির বড় প্রতিষ্ঠান ও তাদের সেবা/তথ্যসমূহ (Tech-Giants Services & News); গুগল (Google), মাইক্রোসফট (Microsoft), আইবিএম (IBM), ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing), সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (Facebook, Twitter Instagram), রোবটিক্স (Robotics), দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার অপরাধ (Cyber Crime) ।


৩৫-৪৬তম বিসিএসে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

ক্রমিক

                                               টপিক

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

কম্পিউটার পেরিফেরালস (Computer Peripherals): কী-বোর্ড (Keyboard), মাউস (Mouse), ওসিআর (OCR) ইত্যাদি

১৫টি

কম্পিউটারের ইতিহাস(History of Computers)

২টি

অপারেটিং সিস্টেমস (Operating Systems)

৮টি

কম্পিউটারের অঙ্গসংগঠন (Computer Architecture), সিপিইউ (CPU), হার্ড ডিস্ক (Hard Disk), এএলইউ (ALU), মেমোরি (Memory) ইত্যাদি।

১৭টি

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (Computer Programming)

১২টি

কম্পিউটারের নম্বর ব্যবস্থা (Number Systems of Computer)

১৮টি

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (Computer Network)

২৩টি

ই-কমার্স (E-Commerce)

৩টি

স্মার্টফোন(Smartphone)

৪টি

১০

ইন্টারনেট(Internet)

১৪টি

১১

ডাটাবেজ ও ডেটা কমিউনিকেশন (Database and Data Communication)

১টি

১২

এমবেড সিস্টেম (Embedded Systems)

১টি

১৩

মোবাইল সেলুলার

১টি

১৪

দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার

৪টি

১৫

কম্পিউটার প্রোগ্রাম (Computer Programme): ভাইরাস (Virus)

২টি

১৬

ক্লাউড কম্পিউটিং(Cloud Computing)

৪টি

১৭

সাইবার ক্রাইম(Cyber Crime)

২টি

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে ভালো করার টিপস:

       ৯ম-১০ম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বোর্ড বই থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়ুন।

       পাশাপাশি বাজারের যেকোনো ভালো একটি বই থেকে বিভিন্ন টপিক ধরে ধরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পড়ে ফেলুন।

       পড়ার সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নোট করে রাখুন যাতে শেষ সময়ে সেগুলো চোখ বুলিয়ে যাওয়া যায়।

       অবশ্যই বিসিএস এর বিগত সালের কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ুন।

       রিপিটেড প্রশ্নগুলো ভালোমতো পড়ুন যাতে সেগুলো উত্তর করে বেশি নম্বর তোলা যায়।


বিসিএস গণিত (গাণিতিক যুক্তি) প্রস্তুতি:

নিম্নে বিসিএস গণিত (গাণিতিক যুক্তি) অংশের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো তুলে ধরা হল:

১। পাটিগণিত অংশ: বাস্তব সংখ্যা, ল.সা.গু ও গ.সা.গু, ভগ্নাংশ, বর্গ ও বর্গমূল নির্ণয়, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সুদকষা ও অনুপাত-সমানুপাত।

২। বীজগণিত অংশ: বীজগাণিতিক সূত্রাবলি ও মান নির্ণয়, বহুপদী উৎপাদক, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা, সূচক, লগারিদম, সেট, বিন্যাস, সমাবেশ, পরিসংখ্যান, সম্ভাব্যতা।

৩। জ্যামিতি অংশ: রেখা, কোণ, ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য ও বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতি-সরল ক্ষেত্র, পরিমিতি-ঘনবস্তু।

৩৫-৪৬তম বিসিএসে গণিত (গাণিতিক যুক্তি) - এর যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

অধ্যায়

টপিকসমূহ

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)






পাটিগণিত

বাস্তব সংখ্যা ও সম্পর্ক

৭টি

ল.সা.গু ও গ.সা.গু

৯টি

শতকরা

৬টি

সরল ও যৌগিক মুনাফা

৭টি

অনুপাত ও সমানুপাত

৫টি

লাভ ও ক্ষতি

৭টি












বীজগণিত

বীজগাণিতিক সূত্রাবলি

১২টি

সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ

২টি

সরল ও দ্বিপদী অসমতা

১২টি

সরল সহসমীকরণ

৩টি

সূচক

১০টি

লগারিদম

১৩টি

সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা

১৫টি

সেট

১৩টি

বিন্যাস

৬টি

সমাবেশ

৩টি

পরিসংখ্যান

১টি

সম্ভাব্যতা

৬টি







জ্যামিতি

রেখা, কোণ

৬টি

ত্রিভুজ

৫টি

চতুর্ভুজ

৫টি

বহুভুজ

১টি

বৃত্ত

৬টি

পরিমিতি ও সরল ক্ষেত্র

১টি

ত্রিকোণমিতি

৩টি

ঘনবস্তু

১টি

গাণিতিক যুক্তিতে ভালো করার টিপস:


  • গাণিতিক যুক্তি অংশে ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলনের প্রয়োজন।

● দৈনিক একটি নির্দিষ্ট সময় গাণিতিক যুক্তির অনুশীলনের জন্য রাখতে হবে।  

● ৭ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুসারে পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।

● উচ্চতর গণিতের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে অনুশীলন করতে হবে।

● প্রিলি পরীক্ষায় গাণিতিক যুক্তি অংশে ভালো করার জন্য গণিতের শর্টকাট টেকনিক গুলোঅনুসরণ করুন।

● লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বিভিন্ন গণিত গুলো লিখে লিখে অনুশীলন করুন।

● বিসিএস সহ বিগত সরকারি চাকরির প্রশ্নগুলো সমাধান করতে হবে।




বিসিএস মানসিক দক্ষতা প্রস্তুতি:

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মানসিক দক্ষতা বিষয়ের জন্য - ভাষাগত যৌক্তিক বিচার, সমস্যা সমাধান, বানান ও ভাষা, যান্ত্রিক দক্ষতা, স্থানাঙ্ক সম্পর্ক ও সাংখ্যিক ক্ষমতা ইত্যাদি অধ্যায়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩৫-৪৬তম বিসিএসে মানিসিক দক্ষতার যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

অধ্যায়

টপিক

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

 

বানান ও ভাষা

সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ

 ৯টি

শুদ্ধ বানান (বাংলা এবং ইংরেজি)

 ১১টি

যান্ত্রিক দক্ষতা

চিত্র বের করা

৮টি

ভারসাম্য রক্ষা

৮টি

স্থানাঙ্ক সম্পর্ক

দিক নির্ণয়

৭টি

আয়নায় শব্দের প্রতিফলন

১৩টি

সংখ্যাগত ক্ষমতা

চিত্রে যৌক্তিক সংখ্যা বসানো

১৩টি

সিরিজ সম্পন্নকরণ

১৬টি




ভাষাগত যৌক্তিক বিচার

সাদৃশ্য

৮টি

শূণ্যস্থানপূরণ

৪টি

সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য

৭টি

বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা

২৯টি

সমস্যা সমাধান

১টি

পঞ্জিকা(দিন, তারিখ,মাস,বছর নির্ণয়)

৫টি

ঘড়ি সংক্রান্ত সমস্যা

৩টি


বিসিএস মানসিক দক্ষতা ভালো করার টিপস:



  • বিভিন্ন চিত্র নির্ণয়, ভারসাম্য রক্ষা, চিত্রে যৌক্তিক সংখ্যা বসানো, ভগ্নাংশ নির্ণয় (ছোট/বড়), আয়নায় শব্দের প্রতিফলন, পানিতে প্রতিফলন, সিরিজ সম্পন্নকরণ, সাদৃশ্য, শূণ্যস্থানপূরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য, কোডিং ও ডি কোডিং, শুদ্ধ বানান, বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার, পঞ্জিকাসংক্রান্ত সমস্যা, ঘড়ি সংক্রান্ত সমস্যা, এলোমেলো অক্ষর থেকে শব্দ তৈরি ইত্যাদিটপিকগুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন। প্রতিটি টপিকে সঠিক ধারণা অর্জন করুন।

  • মানসিক দক্ষতার বিষয়গুলো গুছিয়ে পড়ার জন্য বাজারের যেকোনো একটি ভালো বই অনুসরণকরুন।

  • বিসিএস এর বিগত সালের যত মানসিক দক্ষতার প্রশ্ন রয়েছে সবগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।

  • গাণিতিক সমস্যা গুলো নিয়মিত চর্চা করুন।

  • মানসিক দক্ষতার লিখিত পরীক্ষায় ১ ঘন্টা সময়ে ৫০ টি MCQ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রশ্নসমাধানের জন্য অধিক সময় নেওয়া যাবে না।

  • সময় মেইনটেইন করার জন্য আগে থেকেই  মডেল টেস্ট দিয়ে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারেন।

  • গাণিতিক কোন সমস্যা বুঝতে না পারলে ইউটিউবে বিদ্যাবাড়ির বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতেপারেন।


বিসিএস নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন প্রস্তুতি:

বিসিএস প্রিলিমিনারিতে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয় থেকে - মূল্যবোধ এবং সুশাসনের সংজ্ঞা, মূল্যবোধের সাথে সুশাসনের সম্পর্ক, মূল্যবোধ ও সুশাসনের সাধারণ ধারণা, মূল্যবোধ এবং সুশাসনের গুরুত্ব, মূল্যবোধ এবং সুশাসনের প্রভাব, সুশাসন এবং মূল্যবোধের উপাদান, মূল্যবোধ ও সুশাসনের উপযোগিতা এবং অভাবজনিত প্রভাব এবং নীতিবিদ্যা ইত্যাদি টপিকগুলো থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে।


৩৫-৪৬তম বিসিএসে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন এসেছিল:

ক্রমিক

টপিকের নাম

মোট প্রশ্ন (৩৫-৪৬ বিসিএস)

মূল্যবোধ এবং সুশাসনের সংজ্ঞা (Definition of Values and Good Governance)

২৪টি

মূল্যবোধের সাথে সুশাসনের সম্পর্ক (Relation between Values and Good Governance)

৬টি

মূল্যবোধ ও সুশাসনের সাধারণ ধারণা (General Perception of Values and Good Governance)

১৫টি

মূল্যবোধ এবং সুশাসনের গুরুত্ব (Importance of Values and Good Governance)

১১টি

মূল্যবোধ এবং সুশাসনের প্রভাব (Impact of Values and Good Governance)

১০টি

সুশাসন এবং মূল্যবোধের উপাদান (Element of Good Governance and Values)

১৭টি

মূল্যবোধ ও সুশাসনের উপযোগিতা এবং অভাবজনিত প্রভাব (Benefits of Values and Good Governance and Effects for its Absence)

১০টি

নীতিবিদ্যা

৫টি

নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ে ভালো করার টিপস:

  • যেকোনো একটি ভালো বই থেকে প্রতিটি অধ্যায় ভালোমতো পড়তে হবে।

  • নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অংশে প্রচুর প্রশ্ন রিপিট হয়। রিপিটেড প্রশ্নগুলো বারবার পড়ুন।

  • বিগত বিসিএসের এর নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অংশের সবগুলো প্রশ্ন ব্যাখ্যা সহ পড়ে ফেলুন।

  • বিভিন্ন সংজ্ঞাগুলো সংক্ষেপে মনে রাখার চেষ্টা করুন।

  • বিভিন্ন গ্রন্থের রচয়িতার নামগুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন।

  • সুশাসনের সংজ্ঞা, উপাদান, বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদ, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন, বিভিন্ন আলোচ্য বিষয়, সুশাসনের স্তম্ভগুলো সম্পর্কে পড়ে ফেলুন।

  • সুশাসনের সংজ্ঞা, উপাদান, বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদ, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন, নৈতিকতাও মূল্যবোধের উৎস ও বিভিন্ন আলোচ্য বিষয়, সুশাসনের স্তম্ভগুলো, নীতিবিদ্যা বিষয়ক সংজ্ঞাসমূহসম্পর্কে ধারণা নিন।

  • বিগত বিসিএসের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে যে টপিকগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে সেগুলোতে জোর দিন।


বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি:

    পিএসসির ওয়েবসাইট থেকে বাংলা, ইংরেজি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির, সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সিলেবাসটি দেখে নিতে হবে।

  শব্দগঠন, বানান ও নিয়ম, বাক্যশুদ্ধি/প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, প্রবাদ–প্রবচনের নিহিতার্থ, বাক্যগঠন, ভাব সম্প্রসারণ, রচনা, সারমর্ম, অনুবাদ (ইংরেজি থেকে বাংলা), কাল্পনিক সংলাপ, পত্রলিখন, গ্রন্থ সমালোচনা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়মিত লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে।

  ইংরেজিতে প্যাসেজ থেকে প্রশ্নের উত্তর ও Summary, Essay Writing, Letter Writing, বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ, ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়মিত লিখে লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে।

  বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিয়মিত রিভিশন করতে হবে। নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে এবং সাম্প্রতিক তথ্যগুলো নোট করে রাখতে হবে। পরীক্ষার খাতায় বিভিন্ন তথ্য টেবিল, চার্ট এর মাধ্যমে লিখতে হবে। যতটুকু সম্ভব টপিক সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত খাতায় উপস্থাপন করতে হবে।

   মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত বই থেকে গাণিতিক যুক্তি অংশের জন্য প্রস্তুতি নিন। এছাড়া বিগত সালের প্রশ্নগুলো সমাধান করুন।

   সাধারণ বিজ্ঞান অংশের সিলেবাসটি বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুব ভালোমতো পড়ুন ‍ও বারবার রিভিশন দিন।

 

বিসিএস প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার সমন্বিত প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন:


  • বিসিএস এ সফল হতে হলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার জন্য সমন্বিত প্রস্তুতি নিতে হবে।

  • প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি যেন লিখিত পরীক্ষাতেও কাজে লাগে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

  • প্রতিটি বিষয়ে কিছু কমন টপিক রয়েছে যা প্রিলিমিনারি এবং লিখিত উভয় পরীক্ষাতেই কাজে লাগে। এগুলো সমন্বয় করে পড়তে হবে।

  • প্রতিদিন প্রিলি প্রস্তুতির পাশাপাশি কয়েক ঘণ্টা সময় লিখিত পরীক্ষার জন্য রাখতে হবে।

  • প্রত্যেকটি বিষয়ে প্রিলি ও লিখিতের বিগত প্রশ্নগুলো পড়ুন এবং সমাধান করুন।

  • ব্যাকরণ অংশে টপিকগুলো এমনভাবে পড়ুন যাতে MCQ ও লিখিত প্রস্তুতি হয়ে যায়। ভাব সম্প্রসারণ, রচনা, সারমর্ম, অনুবাদ (ইংরেজি থেকে বাংলা), কাল্পনিক সংলাপ, পত্রলিখন, গ্রন্থ সমালোচনা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়মিত লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে। 

  • ইংরেজিতে Grammar অংশের প্র্যাকটিসের পাশাপাশি প্যাসেজ থেকে প্রশ্নের উত্তর ও Summary, Letter Writing, Essay Writing, বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ, ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়মিত লিখে লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা থেকে ট্রান্সলেশনের প্র্যাকটিস করুন।

  • ৭ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বইগুলো থেকে নিয়মিত পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতির গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো প্র্যাকটিস করুন। পাশাপাশি যেকোনো ভালো একটি বই থেকে মানসিক দক্ষতার বিষয়গুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন। বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বইটি থেকেও প্র্যাকটিস করতে পারেন। 

  • বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির প্রস্তুতির জন্য পত্রিকার সম্পাদকীয় এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়তে হবে। সকল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নোট করে রাখতে হবে। এগুলো পরীক্ষাতে ব্যবহার করতে হবে।

  • সাধারণ বিজ্ঞান অংশের সিলেবাসটি বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুব ভালোমতো পড়ুন ‍ও লেখার প্র্যাকটিস করুন।

  • যদি বুঝতে না পারেন কীভাবে পড়তে হবে তাহলে ভালো কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে পড়াশোনা করতে পারেন।

  • ঘরে বসে থেকেই বিদ্যাবাড়ির Preli & Written Advance Live Batch এ ভর্তি হতে পারেন।


 
বিসিএস প্রিলি পাশের সহজ উপায়:

       প্রিলি প্রস্তুতির জন্য কমপক্ষে ১ বছর হাতে নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করুন।

       সবচেয়ে ভালো হয় যদি অনার্স থেকেই বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করা যায়।

       নিয়মিত পড়াশুনার জন্য একটি SMART Goal তৈরি করুন।

       প্রিলি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক মানবণ্টন ও প্রশ্নপত্র অ্যানালাইসিস করুন।

       প্রত্যেকটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

       কোন টপিকগুলো থেকে অধিক প্রশ্ন আসে বা প্রশ্ন রিপিট হয় সেগুলো চিহ্নিত করুন।

       কোন টপিকগুলো পড়তে হবে তা জানার পাশাপাশি কোন টপিকগুলো বাদ দিতে হবে এই সম্পর্কে জানুন।

       নিজের বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করুন এবং সেগুলোতে বেশি সময় দিন।

       প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য ৭ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই গুলো সংগ্রহ করুন।

       প্রত্যেকটি বিষয় ভালোভাবে পড়ার জন্য মানসম্মত গাইডবই গুলো পড়ুন।

       বিগত বিসিএস এর প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ বুঝে পড়ুন।

       যে প্রশ্নগুলো বারবার রিপিট হয় সেগুলো ভালোমতো পড়ুন।

       দৈনিক একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করুন।

       পত্রিকা থেকে বিভিন্ন বিষয়ের গুরত্বপূর্ণ তথ্য খাতায় নোট করে রাখুন।

       পত্রিকায় যেসব মডেল টেস্ট প্রকাশিত হয় সেগুলো সমাধান করুন।

       পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট এর জন্য নিয়মিত বাসায় ঘড়ি ধরে মডেলটেস্ট দিন।

       পরীক্ষায় ঠিক কতগুলো বৃত্ত ভরাট করবেন তার একটি পূর্ব পরিকল্পনা করে যান।

       কীভাবে পড়তে হবে, কি পড়তে হবে কতটুকু পড়তে হবে সেটি একা বুঝতে না পারলে কোন মেন্টর বা মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিন।

     ঘরে বসে থেকেই স্বল্প খরচে বিদ্যাবাড়ির BCS ADVANCE LIVE BATCH এ যুক্ত হয়ে আপনার বিসিএস প্রস্তুতিকে আরও মজবুত করতে পারেন।


বিসিএস প্রিলি ফেলের কারণ কি:

       সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারা।

       যথাযথ প্রস্তুতি না নিয়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া।

       বিসিএস এর প্রশ্নপত্র ও মানবণ্টন সম্পর্কে ধারণা না থাকা।

       সিলেবাসের কোন অংশ বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনটি কম তা বুঝতে না পারা।

       বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য রুটিন অনুসরণ না করে অগোছালো পড়াশোনা করা।

       একদিন পড়ার পরে আর দুই-তিনদিন পড়াশোনা না করা।

       আমাকে দিয়ে বিসিএস হবে না বা বিসিএস আমার জন্য নয়’ এ ধরনের ধারণা পোষণ করা।

       পরীক্ষার ঠিক আগে আগে পড়াশুনা শুরু করা কিন্তু তখন আর যথেষ্ট সময় থাকে না।

       যারা অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন তারাও অনেক সময় নার্ভাসনেস থেকে পরীক্ষায় খারাপ করেন।

       অনেকে ভালো প্রস্তুতি নিলেও পরীক্ষায় কি পরিমাণ দাগাবেন তার কোন পরিকল্পনা রাখেন না যার কারণে পরীক্ষার হলে ভুল করে বসেন।

       অতিরিক্ত দাগিয়ে নেগেটিভ মার্কিং এর ফাঁদে পড়েন অনেকেই।

       পরীক্ষার হলে ২ ঘণ্টা সময়কে অনেকেই সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেন না। প্রথমেই অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেন যার কারণে পরে আর সময় পান না।


বিসিএস শেষ সময়ের প্রস্তুতি:

       শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন এবং চাপমুক্ত থাকুন।

       শেষ সময়ে নতুন করে কোন কিছু পড়তে যাবেন না বরং গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোতে বেশি জোর দিন।

       পরীক্ষার ২-৩ সপ্তাহ আগে থেকেই বিষয়ভিত্তিক রিভিশন শুরু করুন।

       এতদিন যে তথ্যগুলো নোট করেছেন সেগুলো বারবার পড়ুন।

       পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং এড়ানোর জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। 

       পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র, পরীক্ষার হল ও সিট নম্বর ইত্যাদি বিষয়গুলো ভালোমতো বুঝে  নিন।

       পরীক্ষার আগের রাতে দেরি করে ঘুমানো যাবে না।

       পরীক্ষার দিন যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বের হোন।

       পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রাখুন।

       OMR শিটে রোল ও সেট নম্বর সঠিক ভাবে পূরণ করুন।

       প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরে যে প্রশ্নগুলো আপনি পারেন সেগুলো দ্রুত দাগিয়ে ফেলুন।

       কনফিউশন প্রশ্নগুলোতে বেশি সময় নষ্ট করবেন না।

       কাটমার্ক এর কথা চিন্তা করে অতিরিক্ত ভুল উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

       প্রতিটি বিষয়ে উত্তর করতে নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন।


বিসিএস এর ভাইভা প্রস্তুতি:




বিসিএস এর ভাইভা একটি বৈচিত্র্যময় পরীক্ষা। এর মাধ্যমে একজন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা,ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা, জীবনের লক্ষ্য সহ সিভিল সার্ভিসে যোগদানের আগ্রহের কারণ সবকিছু যাচাই করা হয়।

যেকোনো ভাইভা পরীক্ষার প্রথম প্রস্তুতি হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ আগে থেকে যথাযথ ভাবে গুছিয়ে রাখা।

 

বিসিএস ভাইভার কাগজপত্র:


  • অনলাইনে পূরণকৃত BPSC Form-1 (Applicants Copy)

  • প্রার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত এবং ন্যূনতম নবম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি

  • সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

  • অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেটধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।

  • বয়স প্রমাণের জন্য এস.এস.সি/সমমানের পরীক্ষার মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত কপি।

  • “O-Level” এবং “A-Level” প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ সংবলিত দালিলিক প্রমাণ যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সনদ।

  • এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা বিদেশ থেকে ডিগ্রি অর্জনকারীদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে


 

যাদের নিয়ে বিসিএস ভাইভা বোর্ড গঠিত হয়:
বিসিএস এর ভাইভার জন্য ৩ জন সদস্য বিশিষ্ট মোট ১২ টি বোর্ড গঠিত হয়। এর মধ্যে-

       প্রতিটি বোর্ডে ১ জন করে চেয়ারম্যান থাকেন, যিনি মূলত পিএসসির সদস্য।

       ২য় সদস্য হিসেবে থাকেন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত যুগ্ম সচিব বা তাঁর ঊর্ধ্ব পর্যায়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা।

       ৩য় সদস্য হিসেবে থাকেন সরকারের কোনো অবসরপ্রাপ্ত সচিব, যুগ্ম সচিব বা প্রতিষ্ঠিত সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা।


বিসিএস ভাইভা পরীক্ষায় ভালো করতে করণীয়:


  • যথাযথ অফিসিয়াল ড্রেস আপ করে মার্জিত ভাবে ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হতে হবে। ছেলেরা স্যুট-টাই এবং    মেয়েরা শাড়ি পড়বেন।

  • ভাইভার দিন যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে ভাইভার জন্য বের হতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে।

  • ভাইভা বোর্ডে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুন এবং বসতে বললে বসুন। মার্জিত ভাবে চেয়ারে বসবেন

  • বিসিএস ভাইভা পরীক্ষায় সাধারণত প্রার্থীর পেশাগত জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং উপস্থাপনা দক্ষতা মূল্যায়ন করেন।

  • প্রার্থীকে ভাইভা প্রস্তুতি হিসেবে তার পছন্দক্রম অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাডারের কাজ, পদক্রম, কাজের পরিধি, সুবিধা-অসুবিধা, এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। 

  • আপনি কেন একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারকে উপরের চয়েজে রেখেছেন কিংবা কেন এই ক্যাডারে যেতে চান এই প্রশ্নের উত্তর আগেই সাজিয়ে রাখুন।

  • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলমান সকল সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান রাখুন।

  • আপনার বুদ্ধিমত্তা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রেখে শান্ত ভাবে প্রশ্নের উত্তর দিন।

  • যদি কোন প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকে তাহলে মার্জিত ভাবে অপারগতা প্রকাশ করুন।

  • প্রার্থীর অনার্স/মাস্টার্সের বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। বিশেষ করে প্রার্থীর একাডেমিক থিসিস বা গবেষণার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে।

  • নিজের জেলা উপজেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, দর্শনীয় স্থান, উল্লেখযোগ্য পণ্য, ফসল ইত্যাদি সকল তথ্য জেনে রাখুন।

  • নিজের নামের অর্থ এবং নামের সাথে মিল রয়েছে এমন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে ভালোমতো ধারণা রাখ


আরও পড়ুন:বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি: কঠিন প্রশ্ন সহজে মোকাবেলা করুন


বিসিএস ভাইভায় যে কাজ গুলো করা যাবে না:

       কোন কাজ ভাইভার দিনের জন্য রেখে দিবেন না।

       ভাইভার আগে কোন তাড়াহুড়ো করা যাবে না।

       কাগজপত্র গোছানো থেকে শুরু করে সকল কাজ ভাইভার দিনের আগেই সম্পন্ন করুন।

       ভাইভার দিন যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বের হবেন এবং সঠিক টাইমে কেন্দ্রে পৌঁছাবেন।

       ড্রেস আপ এর ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকুন।

       ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করে হেলেদুলে বসা যাবে না।

       অনুমাননির্ভর কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

       বোর্ড সদস্যদের সাথে কোন মতানৈক্য করবেন না।

       কোন প্রকার রাজনৈতিক মন্তব্য বা দর্শন প্রকাশ করবেন না।

       কথার ভাষায় আঞ্চলিকতা পরিহার করুন।


বিসিএস এর জন্য প্রয়োজনীয় বই (BCS Book List):



বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা (bcs preliminary book list):
অনেকেই বুঝতে পারেন না যে বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির জন্য কি কি বই পড়া লাগবে। আপনাদের বিসিএস প্রস্তুতির জন্য বর্তমান বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বইয়েরতালিকা এখানে উল্লেখ করা হল:

বাংলা সাহিত্য:

বাংলা সাহিত্য অংশের প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বইগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • নবম, দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র বোর্ড বই

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস

  • অগ্রদূত বাংলা- মফিজুল ইসলাম মিলন

  • লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ুন আজাদ

  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর


বাংলা ব্যাকরণ:

বাংলা ব্যাকরণ অংশের প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বইগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।

    • ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্র বোর্ড বই

    • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস

    English Grammar:

Grammar অংশের প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • বিদ্যাবাড়ির Classroom MCQ English 

  • Master English Grammar- Md. Jahangir Alom

  • Vocabulary এর জন্য ইংরেজি পত্রিকা


English Literature:


Literature অংশের প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বইটি অনুসরণ করা যেতে পারে:


An ABC of English Literature – Dr M Mofizar Rahman.

 
বাংলাদেশ বিষয়াবলি:

বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বোর্ড বই (৯ম-১০ম শ্রেণি)

  • পৌরনীতি ও সুশাসন বোর্ড বই (দ্বাদশ)-প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই

  • সংবিধান, সাংবিধানিক আইন ও রাজনীতি: বাংলাদেশ প্রসঙ্গ- আব্দুল হালিম

  • নিয়মিত পত্রিকার সম্পাদকীয় সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ পাতা  

  • সাম্প্রতিকের জন্য মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স


আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি:

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:


  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই

  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি- শাহ্‌ মো: আব্দুল হাই/ বেসিক ভিউ- মোঃ নাঈম হোসেন

  • পত্রিকা ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স


গাণিতিক যুক্তি:


গাণিতিক যুক্তি প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:


  • সাধারণ গণিতের জন্য ৮ম, ৯ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই

  • উচ্চতর গণিতের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই

  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চতর গণিত বোর্ড বই

  • বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই



মানসিক দক্ষতা:

মানসিক দক্ষতার প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:



সাধারণ বিজ্ঞান:


সাধারণ বিজ্ঞানের প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:


  • ৮ম, ৯ম এবং ১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বোর্ড বই

  • বিসিএসের সিলেবাসের সাথে যে টপিকগুলো মিল রয়েছে সেগুলো একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বোর্ড বই থেকে পড়তে হবে। 

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই।



কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি:

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

·         ৯ম, ১০ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বোর্ড বই

·         প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান রচিত একাদশ, দ্বাদশ ও আলিম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বোর্ড বই।

·         বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই।


ভূগোল, পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা:

ভূগোল, পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:


  • ৯ম, ১০ম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বোর্ড বই

  • একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ভূগোলের বোর্ড বই

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই


নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এবং সুশাসন:


নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এবং সুশাসনের প্রস্তুতির জন্য নিন্মের বই গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • পৌরনীতি ও সুশাসন বোর্ড বই (একাদশ)-প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই।


 বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা (Bcs written book list):

বাংলা:


  • নবম, দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ১ম ও ২য় পত্র বোর্ড বই

  • লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ুন আজাদ

  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর

  • ভাষা ও শিক্ষা – হায়াৎ মাহমুদ

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস

  • শীকর – মোহসিনা নাজিলা (গ্রন্থ সমালোচনা)

  • বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম


ইংরেজি:


  • A Passage to the English Language by S.M. Zakir Hossain

  • Applied English Grammar and Composition– P. C. Das.

  • Focus Writing Essay with Translation- Kabil Mahmud

  • ইংরেজি পত্রিকা থেকে ট্রান্সলেশন ও রিডিং প্র্যাকটিস


গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা


  • সাধারণ গণিতের জন্য ৭ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই

  • উচ্চতর গণিতের জন্য ৯ম-১০ম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড বই

  • বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই

  • খাইরুলস মেন্টাল অ্যাবিলিটি


বাংলাদেশ বিষয়াবলি:


  • বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বোর্ড বই (৯ম-১০ম শ্রেণি)

  • পৌরনীতি ও সুশাসন বোর্ড বই (দ্বাদশ)-প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক

  • নিয়মিত পত্রিকার সম্পাদকীয় সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ পাতা

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই

  • লতিফুর'স ফোকাস রাইটিং- লতিফুর রহমান লিটন/ Focus Writing Manual- M. Mostafa Kamal


আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি:
  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই

  • পত্রিকা ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

  • বেসিক ভিউ লিখিত আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- মোঃ নাঈম হোসেন / ম্যানুয়াল বিসিএসলিখিত আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি- আব্দুর রহমান শ্রাবণ


সাধারণ বিজ্ঞান:


  • ৮ম, ৯ম এবং ১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বোর্ড বই

  • একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বোর্ড বই থেকে বিসিএসের সিলেবাসঅনুযায়ী সাধারণ বিজ্ঞানের টপিকগুলো পড়তে হবে। 

  • বিদ্যাবাড়ির বিসিএস ডাইজেস্ট প্লাস বই।


বিসিএস এর জন্য পড়ার রুটিন যেভাবে সাজাবেন:

       আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দৈনিক কত ঘণ্টা পড়বেন সেটি নির্ধারণ করুন।

       প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতির জন্য আলাদা সময় রাখুন।

       আপনার বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা ও দক্ষতা অনুযায়ী প্রিলির বিষয়গুলোর কোনগুলো একদিনে পড়বেন, কোনগুলোতে বেশি সময় দিবেন সেটি নির্ধারণ করুন।

       লিখিত বিষয়গুলো নিয়মিত প্র্যাকটিসের লক্ষ্য রাখুন।

       আপনি চাকরিজীবী হলে দিনশেষে কত ঘণ্টা পড়বেন সেটি নির্ধারণ করুন।

       সপ্তাহের শেষে যা যা পড়লেন সেগুলো রিভিশন করার জন্য সময় রাখুন।

       নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়ার জন্য সময় রাখুন।

       যেকোনো উপায়েই হোক না কেন রুটিন মেনে পড়াশোনা করার চেষ্টা করুন।


বিসিএস এর জন্য পত্রিকা পড়ার নিয়ম:

       দৈনিক ১টি বাংলা ও ১টি ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করুন।

       অর্থনীতি, সাম্প্রতিক ঘটনা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু গুলো পত্রিকা থেকে দাগিয়ে পড়ুন।

       সম্পাদকীয় পাতা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ডাটা নোট করে রাখুন।

       পত্রিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভোকাবুলারিগুলো নোট রাখতে হবে।

       পত্রিকা থেকে বাংলা ও ইংরেজি ট্রান্সলেশনের প্র্যাকটিস করতে হবে।

       সব খবর পড়ার চেয়ে প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো খুঁজে বের করা বেশি জরুরি।

 

কোচিং ছাড়া বিসিএস প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে:

       বিসিএস এর প্রশ্নপত্র ও মানবণ্টন সম্পর্কে বিষদ ধারণা নিন।

       একটি ভালো ডাইজেস্ট বই থেকে প্রিলির বিষয়গুলো গুছিয়ে পড়ুন ।

       একটি ভালো জব সল্যুশন থেকে বিগত বিসিএস ও সরকারি চাকরির প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যা সহ পড়ুন।

       ৭ম-১০ম শ্রেণির বোর্ড বই থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পড়ুন।

       নিয়মিত ১ টি বাংলা ও ১টি ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন।

       লিখিত বিষয়ের সিলেবাসটি ভালোমতো বুঝে নিন।

       লিখিত বিষয়গুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন।

       অনলাইন ও ইউটিউব থেকে বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল দেখে দেখে প্র্যাকটিস করতে পারেন।

 

বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন প্রক্রিয়া:


     বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীকে সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটের (bpsc.teletalk.com.bd)  মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

    ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রার্থীদের তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী জেনারেল ক্যাডার অথবা টেকনিক্যাল ক্যাডার অথবা জেনারেল ও টেকনিক্যাল উভয় ক্যাডার অপশনটি চয়েজ করতে হবে। (কোন শিক্ষার্থী যদি কোন কারিগরি পদে আবেদন করতে চান তবে তার সে বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।)

    আবেদনের ১ম পর্বে BPSC Form-1 দেখতে পাবেন যেখানে ৩টি অংশ থাকবে:

১. ব্যক্তিগত তথ্য,  

২. শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য এবং

৩. ক্যাডার চয়েজ-সংক্রান্ত তথ্য

    এবার যথাযথ ভাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ওজন-উচ্চতা-বুকের মাপ, স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানা, এনআইডি নম্বর, জন্ম নিবন্ধন নম্বর সহ একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।

    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে ক্যাডার চয়েজ নির্ধারণ করা। এই বিষয়ে আগে থেকেই বিস্তারিত গবেষণা ও চিন্তা ভাবনা করে নিতে হবে। সব ক্যাডার পদই নবম গ্রেডের কিন্তু প্রতিটি ক্যাডারের কাজের পরিধি আলাদা। আবেদনের সময় আপনার যে যে ক্যাডার পছন্দ সেগুলো যথাক্রমে তালিকায় উল্লেখ করবেন।

    সব তথ্য পূরণ করা হয়ে গেলে ভালো ভাবে দেখে নিয়ে সব তথ্য সঠিক দেয়া হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন দিয়ে আপনাকে পরবর্তী বাটন ক্লিক করে পরের পেজে যেতে হবে। সেখানে আপনি সম্পূর্ণ আবেদনপত্রটি চেক করার সুযোগ পাবেন। এই পর্যায়ে পুরো আবেদন ফরমটি ধৈর্য ধরে পড়বেন এবং কোনো ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে নেবেন। কারণ আবেদনে কোন ভুল হলে এই ধাপের পর সেটি আর সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না।

    আবেদনপত্র চেক করা হয়ে গেলে আপনাকে যথাযথভাবে নিজের ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে।

     সব ঘর সঠিকভাবে পূরণ করার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি সাবমিট করবেন। 

    আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনার ইউজার আইডি, ছবি এবং স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাবেন। এই অ্যাপ্লিকেন্টস কপিটি প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখুন।

    অ্যাপ্লিকেন্টস কপিতে যে ইউজার আইডি দেয়া থাকবে সেটি ব্যবহার করে শুধুমাত্র কোন টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বিসিএর আবেদনটি সম্পন্ন করবেন। এরপর প্রাপ্ত প্রবেশপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নেবেন।


 

আরও দেখুন:৪৭তম বিসিএস (BCS) আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদন করার নিয়ম, ফি ও প্রয়োজনীয় সব তথ্য


আপনি যেহেতু এই পর্যন্ত এসেছেন আশাকরি আপনি সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়েছেন। এই ব্লগটি আপনার BCS Preparation নিতে কোন সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে কিনা আমাদের কমেন্টে জানাতে পারেন। এছাড়াও চাকরি প্রস্তুতি সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন ও পরামর্শে Chat অপশনে ক্লিক করে আমাদের ম্যাসেজ করুন। আমাদের একজন প্রতিনিধি শীঘ্রই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

 

বিসিএস প্রস্তুতি নিয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর:

 

প্রশ্ন: বিসিএস দিতে কত পয়েন্ট লাগে?

উত্তর: বিসিএস পরীক্ষায় জন্য কোনো নির্দিষ্ট জিপিএ বা পয়েন্টের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় একটির বেশি তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে পারবে না। 

 

প্রশ্ন: বিসিএস ক্যাডার কয়টি?

উত্তর: বাংলাদেশে বর্তমানে বিসিএস (BCS) ক্যাডার সংখ্যা ২৬টি।  যার মধ্যে সাধারণ ক্যাডার: ১৪টি, কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডার: ১২টি।

 

প্রশ্ন: প্রিলির কাট মার্ক কত?

উত্তর: এটি নির্ধারিত নয়। প্রশ্নপত্রের মান, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পিএসসি কর্তৃক কতজন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হবে তার উপর কাট মার্ক নির্ধারিত হতে পারে।

 

প্রশ্ন: বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়?

উত্তর: বিসিএস পরীক্ষা প্রতি বছর ১ বার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উপর নির্ভর করে।

 

প্রশ্ন: বিসিএস প্রস্তুতি নিতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তর: বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই, তবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।

 


Leave A Reply

Already have an account ? Sign in to leave a reply

Comments

Top Categories

BCS

14

Primary

7

NTRCA

4

Digital Marketing

4

Graphic design

2

Technology

1

More Blogs

BCS

৪৭তম বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন - এক্সপার্ট সাজেশন | Biddabari

Biddabari |

09 August 2025

BCS

৪৯তম বিসিএস (বিশেষ)-এ শিক্ষক হতে চান?

Biddabari |

07 August 2025

জানুন বিস্তারিত সবকিছু

BCS

৪৯তম BCS (স্পেশাল)-এ সফল হওয়ার কৌশল

Biddabari |

31 July 2025

ডাউনলোড করুন

বিদ্যাবাড়ি App

180K+

Learners

4.7

Positive
Reviews

180+

Skill based Courses

ডাউনলোড করুন বিদ্যাবাড়ি অ্যাপ,
শুরু করুন এখান থেকেই